• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

হাবিপ্রবিতে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা 

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২৪  

দিনাজপুরের  হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ইনস্টিটিউট অফ রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং (আইআরটি) এর আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য “অফিসিয়াল কার্যক্রম ও দায়িত্ববোধ" সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

শনিবার (১৬মার্চ) সকাল ১০টায় অডিটোরিয়াম-২ এ উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে আইআরটি'র সহকারী পরিচালক অধ্যাপক ড. সুলতান মাহমুদের সঞ্চালনায় এবং আইআরটি'র পরিচালক অধ্যাপক ড. এস. এম. হারুন-উর-রশীদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুদীর্ঘ চব্বিশ বছরের লড়াই সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে উনি ৪৬৮২ দিন জেলখানায় কাটিয়েছেন, লক্ষ্য একটিই সেটি হলো পেশাজীবী সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা এবং জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান তার যে লক্ষ্য সেই লক্ষ্য অর্জন করেছেন, পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশকে স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিলো স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশকে একটি সোনার বাংলায় রূপান্তর করা কিন্তু ১৯৭৫ সালে ১৫ ই আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করেন। যার ফলে বাধাগ্রস্ত হয় বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপান্তর করা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শহীদ শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শহীদ শিশু রাসেলসহ যারা শহীদ হয়েছেন সকলের প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। সেই সাথে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি আমাদের ৩০ লক্ষ্য শহীদ এবং ২ লক্ষ মা- বোন যাদের সম্ভ্রমের বিনিময়ে পেয়েছি স্বাধীনতা।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বিভিন্ন সময়ে বাধাগ্রস্ত হলেও তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে প্রথম ক্ষমতায় আসেন এবং ২০০৮ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর তিনি যে বিষয়টিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বারোপ করেছিলেন সেটি হলো প্রশাসনিক ব্যবস্হায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, অংশগ্রহণমূলক একটি সুন্দর সমাজ ব্যবস্হা গড়ে তোলা। যার মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্ন, ডিজিটাল ও স্মার্ট  বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। আর তারই প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেই স্মার্ট  বাংলাদেশ নির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সেক্ষেত্রে আপনারা যারা কর্মচারীবৃন্দ রয়েছেন আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে৷ এক্ষেত্রে আপনাদের যেটি করতে হবে সেটি হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আনুগত্য, সরকারের প্রতি আনুগত্য রেখে আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করা। আর আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যদি আপনারা সুষ্ঠুভাবে পালন করেন তাহলে অবশ্যই আমি বিশ্বাস করি আমরা হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সেই অভিষ্ঠ লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজেদেরকে আত্মনিয়োগ করতে সক্ষম হবো। আমি আশা করছি, আজকে সারা দিনব্যাপী যে প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি হবে তা থেকে অর্জিত জ্ঞান নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে প্রয়োগের মাধ্যমে আপনাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করবেন।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –